গাজীপুরে বাসে ধর্ষণ: ৫ আসামির স্বীকারোক্তি

গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসে স্বামীকে বাস থেকে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) বিকেলে তাদের গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে পৃথক ভাবে ৫ জনই তিনজন বিচারকের কাছে ঘটনার স্বীকার করে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার বিকালে আসামিদের গাজীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে তারা বিচারকের কাছে পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দরিপাড়া এলাকার আলী আকবরের ছেলে রাকিব মোল্লা (২৩), নেত্রকোনার গুপিরঝুপা এলাকার মো. সানোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন খান (২০), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মো. কফিলের ছেলে মো. সজিব (২৩), হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোলা এলাকার তুলা মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (১৯) ও খুলনার রুপসা থানার খানমোহাম্মদপুর এলাকার নূর আলমের ছেলে সুমন হোসেন (২২)। তারা সবাই তাকওয়া পরিবহনের কর্মী।

পুলিশ জানায়, নওগাঁ থেকে আসা স্বামী-স্ত্রী শনিবার ভোরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে তারা তাকওয়া পরিবহনের বাসে শ্রীপুর উপজেলার মাস্টারবাড়ি যাওয়ার পথে মাওনা ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর স্বামীকে মারধর করে জোরপূর্বক বাস থেকে ফেলে দেয়। এরপর ওই বাসের চালক, হেলপারসহ ৫ জন দলবদ্ধভাবে পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এসময় দুষ্কৃতিকারীরা স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, ব্যাগ, নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পড়ে তাকওয়া পরিবহনের চালক সহযোগীরা বাসটি আবার ঘুরিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় স্ত্রীকে নামিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকওয়া পরিবহনের বাসটি জব্দ করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

ভুক্তভোগী ওই নারীকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.