ম্যারিকো বাংলাদেশের ২২তম এজিএম অনুষ্ঠিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা এজিএমে ২শ শতাংশের চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ (শেয়ার প্রতি ২০ টাকার) নিশ্চিত ও অনুমোদিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এজিএমে সভাপতিত্ব করেন ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সৌগত গুপ্তা। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ গোপাল; স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে নিরীক্ষা কমিটির সভাপতি পারভিন মাহমুদ; মনোনয়ন ও পারিশ্রমিক কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান; অ-নির্বাহী পরিচালক পবন আগারওয়াল প্রমুখ।

এ সময় ম্যারিকো’র পরিচালনা পরিষদে নতুন দুই জন পরিচালক নির্বাচিত হয়। এরা হলেন নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজত দিবাকর, এবং নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক শিলা রহমান। সেই সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ গোপালের অ-নির্বাহী/মনোনীত পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়।

এবাবের সভার মূল এজেন্ডা ছিল- ২০২১-২২ সালের অর্থবছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও পরিচালনা পর্ষদ-এর রিপোর্ট অনুমোদন; ৩১ মার্চ, ২০২২ সমাপ্ত বছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা; নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালক নিয়োগ; এবং নিরীক্ষক নিয়োগ এবং আন্তঃকোম্পানি লেনদেনের অনুমোদন প্রদান।

ম্যারিকো’র বার্ষিক সাধারণ সভায় ২শ শতাংশের চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ (শেয়ার প্রতি ২০ টাকার) নিশ্চিত ও অনুমোদিত হয়েছে। এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৬শ শতাংশের (শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা) তিনটি অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ও প্রদান করা হয়, যা ৩১ মার্চ, ২০২২ সমাপ্ত বছরের মোট নগদ লভ্যাংশ ৮০০ শতাংশে (শেয়ার প্রতি ৮০ টাকা) নিয়ে এসেছে।

ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সৌগত গুপ্তা বলেন, “আমাদের কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ৩৫৫ কোটি টাকা, আর আয় ১৩শ ০৩ কোটি টাকা। ফলে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১২.৮২ টাকা।”

তিনি কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রভাব ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেওয়া বাংলাদেশ সরকার, শিল্প সহযোগী এবং ম্যারিকোর সদস্যদের অভিনন্দন জানান। গত অর্থ-বছরে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় কোষাগারে কর, ভ্যাট এবং শুল্ক বাবদ ৪১৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারকে সমর্থনের পাশাপাশি ম্যারিকো সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ২.২৮ কোটি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে গত বছর। এ বছর নিট লাভের ১ শতাংশ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি ইউএনডিপি ও সরকারের সাথে স্বপ্ন প্রকল্পে কাজ অব্যাহত রেখেছে এবং এই প্রকল্পের অধীনে হতদরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান ও কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করেছে। সেই সঙ্গে ব্র্যাক, সাজিদা ফাউন্ডেশন, ইউসিইপি এবং ঘাশফুল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ম্যারিকো হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ও হাইজিন পণ্য অনুদান দিয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.