ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাংলালিংক, যমুনা ব্যাংককে সাকিবের আইনি নোটিশ

চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সাকিব আল হাসানের ছবি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের বিরুদ্ধে। তাই চুক্তি ভঙ্গ করায় প্রতিষ্ঠান দুইটির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, ৭ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া না গেলে পরবর্তী পদক্ষেপে যাবেন সাকিব।

টেস্ট দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং যমুনা ব্যাংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ৬ বছর আগে। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠান সাকিবের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ডিং এবং প্রমোশনের কাজে তার ছবি ব্যবহার করছে। এই অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠান দু’টির কাছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সাকিবের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদী।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে- বাংলালিংক চুক্তি ভঙ্গ করে যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ অন্যান্য জায়গায় সাকিবের ছবি ব্যবহার করে। এ ধরনের কাজ ঘৃণ্য, বেআইনি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ২৬, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারা ৪৪, কপিরাইট আইন ২০০০ এর ধারা ৮২, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৪০৬, ৪২০ লঙ্ঘন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও কপিরাইট আইনে সাকিবের পক্ষ থেকে লিখিত জবাব দাবি করা হয়েছে।

সাকিবের বিজ্ঞাপন সংস্থার এজেন্ট নাফিস মোমিন বলেন, ‘কোনো অনুমিত ছাড়া এবং চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা (বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংক) সাকিবের ছবি ব্যবহার করেছে। তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মোট ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।’

২০১৪ সালে স্ত্রী উম্মে আহেমদ শিশিরের সঙ্গে বাংলালিংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। এ জুটির একাধিক বিজ্ঞাপণ টিভির পর্দায় দেখা যায়। নাফিস মোমিন বলেন, ‘বাংলালিংকের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষ হয় ২০১৬ সালের এপ্রিলে। এরপর কোনো টেলিকমের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেয় বিসিবি।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.