২৯ ওভারের ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের জয়

ক্রিকেট আর বৃষ্টির তিক্ত সম্পর্ক বেশ পুরোনো। ম্যানচেস্টারে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হানা দিয়েছিল সেই বেরসিক বৃষ্টি। যার ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ নেমে আসে ২৯ ওভারে। অবশ্য ম্যানচেস্টারে এমন বৃষ্টিতে ইংলিশ সমর্থকরা হয়তো খুশিই হয়েছে। কারণ ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির মাঝামাঝি এই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি মেজাজেই ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ২০১ রানের জবাবে একশো পেরোনোর আগেই গুটিয়ে যায় সাউথ আফ্রিকা। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৮ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরালো ইংলিশরা।

ম্যানচেস্টারে ২০২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে সাউথ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ডাক মেরে ফেরেন জানেমান মালান। এ ম্যাচেও ইংলিশদের হয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রেইস টপলি। রাসি ভন ডার ডাসেন আর এইডেন মার্করামও ডাক মারেন। টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই ডাক মেরে ফিরলে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংলিশরা। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককও ফিরেছেন মাত্র ৬ রান করে। আর তাতে ৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দল।

এরপর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন আর ডেভিড মিলার। তবে প্রোটিয়া অধিনায়ক উইকেটে থিতু হয়েও সাজঘরে ফিরেছেন ১২ রান করে। ড্রোয়াইন প্রিটোরিয়াসও ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। শেষদিকে লেজের সারির চার ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ৪ বল খেলে ৮৩ রানে অলআউট হয় সাউথ আফ্রিকা। এরফলে ১১৮ রানের বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এদিন দলের সেরা বোলার আদিল রশিদ। এই জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফিরিয়েছে ইংলিশরা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেন জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্ট্রো। দুই ওপেনারই ব্যাটিং করেছেন একশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে। এরপর জো রুট আর মঈন আলি দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও লিয়াম লিভিংস্টোন এবং স্যাম কারানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৮ অভার ১ বলে ২০১ রান তোলে অলআউট হয়ে সাউথ আফ্রিকা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.