বেতারের ডিজি মারা গেছেন

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (ডিজি) আহম্মদ কামরুজ্জামান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২৩ জুলাই) ভোরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। বেশকিছু দিন ধরে তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসার মো. মাহমুদুন নবী এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উনার মরদেহ দেশে আনা হবে। তবে কখন আনা হবে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। পারিবারিকভাবে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ বেতারের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত আহম্মদ কামরুজ্জামান চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) হিসেবে চলতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আহম্মদ কামরুজ্জামান ১৯৮৭ সালে ৭ম বিসিএসের মাধ্যমে তথ্য ক্যাডারে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ বেতারে যোগদান করেন। ১৯৮৭ সালের ১ এপ্রিল বাংলাদেশ বেতার, খুলনায় যোগদানের মাধ্যমে তার চাকরিজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্র, উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১, মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র, ক্ষুদ্রতরঙ্গ প্রেরণ কেন্দ্র, জাতীয় বেতার ভবন, পরিকল্পনা শাখা, কারিগরি কার্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নিজের মেধা, পরিশ্রম ও সততার স্বাক্ষর রেখে তিনি বাংলাদেশ বেতারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ বেতারের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তার কর্মদক্ষতা ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারা প্রকৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশ বেতারকে করেছে আধুনিক ও যুগোপযোগী।

তিনি দেশব্যাপী এফএম ও এএম সম্প্রচারের ব্যবস্থা করছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বেতার তরঙ্গ সম্প্রচারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে, অনলাইন স্ট্রিমিং ও অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী দেশি-বিদেশি শ্রোতাগণ শুনতে পারছেন বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা।

আহম্মদ কামরুজ্জামান যশোর জেলায় ১৯৬৩ সালের ১ জানুয়ারি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রজীবনের বিভিন্ন স্তরে আপন মেধার পরিচয় দিয়েছেন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে তিনি ভারত সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব টেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.