শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের বহিষ্কৃত নেত্রী নুপুর শর্মার সমর্থনে কলেজটির এক ছাত্র তার ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এরপর পুলিশি পাহারায় বিকাল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল মানুষ। ওই শিক্ষক হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। পরে তাকে তুলে নেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।

এ ঘটনায় গত ২৮ জুন আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান ওই ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত তাকে রিট আকারে আসার পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষককে অপদস্ত করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জুন রিট দায়ের করা হয়। সেই রিটেই নতুন করে সম্পূরক আবেদন জানালো আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.