বাংলাদেশ নয়, আরব আমিরাতে হতে পারে এশিয়া কাপ

আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থাকলেও ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ আয়োজন ‘আত্মবিশ্বাসী’ ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে সপ্তাহ না পেরোতেই পুরোনো সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গেল দ্বীপ রাষ্ট্রটি। শ্রীলঙ্কায় না হলে বাংলাদেশে হতে পারে এশিয়া কাপ! কদিন আগে এমন গুঞ্জন উঠলেও সেটা খানিকটা উড়িয়ে দিয়েছেন মোহন ডি সিলভা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সচিব জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

শ্রীলঙ্কায় চলছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়। উত্তাল শ্রীলঙ্কার জনগণ নেমে পড়েছে গণবিক্ষোভেও। এমন অবস্থার মাঝেও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ আয়োজন করেছে এসএলসি। বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট খেলছে শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মতো দলকে আতিথেয়তা দেয়ার পরও শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখছেন ডি সিলভা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।’

শুকনো খাবারের সরবরাহ না থাকা, ব্যক্তিগত যানবাহনে জ্বালানী তেলের বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কার জনগণ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ঢুকে বিক্ষোভ করেন। যদিও ক্রিকেটে সেটার প্রভাব খুব একটা পড়েনি। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টকে মেলাচ্ছেন না অ্যাশলে ডি সিলভা। কারণ বাছাই পর্বসহ মোট ৯টি দলকে আতিথেয়তা দিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। সেখানেই বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন এসএলসির প্রধান নির্বাহী।

এ প্রসঙ্গে ডি সিলভা বলেন, ‘দুই দলকে আতিথেয়তা দেয়া আর দশ (৯) দলকে আতিথেয়তা দেয়া এক নয়। আপনাকে তাদের সবার জন্য জ্বালানিসহ বাস সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি দলকে জ্বালানিসহ একটি লাগেজ ভ্যান দিতে হবে এবং পরিচালকদের জন্য পরিবহন দিতে হবে। আপনাকে স্পন্সরদের জন্য পরিবহন দিতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন স্পন্সর থেকে সকল ধরনের সুবিধা পায়। ফ্লাডলাইট জ্বালানোর জন্য আপনাকেও জ্বালানিও খুঁজে বের করতে হবে।’

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও খেলবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দল। যেখানে মূল পর্বে যোগ দেবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা একটি দল। লম্বা সময় ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে থাকেন সমর্থকরা। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেখানে এমন মানুষ থাকবে যারা কিনা এমন ম্যাচগুলো দেখতে ভ্রমণ করতে চায়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণ মানুষ শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করতে খুব বেশি আগ্রহী নাও হতে পারে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.