ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন ব্যাংক কর্মকর্তা

ওয়ালটনের তিনটি ফ্রিজ ব্যবহার করছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহমেদ। দামে সাশ্রয়ী, টেকসই আর দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের জন্যই তার পছন্দ ওয়ালটনের ফ্রিজ। সম্প্রতি গৃহে ব্যবহারের জন্য আরেকটি ফ্রিজ কেনেন শাহাবুদ্দিন। ওয়ালটন থেকে কেনা চতুর্থ ফ্রিজে তার জন্য ছিলো বড় চমক। ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারা দেশে চলমান ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৫ এর আওতায় ফ্রিজটি কিনে ২০ লাখ টাকা পেয়েছেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ করে টাকা পেয়েছেন গাজীপুর সদরের পোশাককর্মী পারভিন আকতার এবং ফেনী সদরের ধুমসাদ্দা গ্রামের মোহাম্মদ সবুজ মিয়া। এছাড়া অসংখ্য ক্রেতা বিভিন্ন অংকের কোটি কোটি টাকা এবং ফ্রি পণ্য পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান ক্রয়ে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এবং কোটি কোটি টাকার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) খুলনার জলিল স্মরণীতে অবস্থিত ওয়ালটনের একটি বিক্রয়কেন্দ্রে শাহাবুদ্দিন আহমেদেরর হাতে ২০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্জ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনার প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট মেমরী সুফিয়া রহমান, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি সিদ্দীকুর রহমান, কাউন্সিলর শেখ মোশাররফ হোসেন, আনিসুর রহমান বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান ও আমেনা হালিম এবং ইলেকট্রো ওয়ার্ল্ড শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আকিব জাবেদ সবুজ প্রমুখ।

জানা গেছে, শাহাবুদ্দিনের বাড়ি যশোর সদরের মাহিদিয়া গ্রামে। তিনি দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড -এর সাতক্ষীরা শাখায় সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি খুলনা এ. বি. এস. ইলেকট্রো ওয়ার্ল্ড’ থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন তিনি। ফ্রিজ কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন হলে শাহবুদ্দিনের মোবাইলে ২০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়। ওই টাকায় জমি কিনবেন বলে জানান শাহাবুদ্দিন।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেয়র বলেন, এক সময় ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে বিলাসী পণ্য বলা হতো। কিন্তু এখন ওয়ালটন তা এমনভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে, যাতে এগুলোকে আর বিলাসী পণ্য বলা যায় না। ওয়ালটন দেশেই আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করছে। ভালোমানের পণ্য ও সেবা আর প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশে দারুণ জনপ্রিয় ওয়ালটন। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ওয়ালটনের মতো দেশীয় কোম্পানিগুলোর পাশে আমাদের থাকতে হবে।

আমিন খান বলেন, ওয়ালটনের পণ্য কিনে একজন ক্রেতা শুধু নিজের উন্নতি করেন না, তারা দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখেন। ওয়ালটনের মতো দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার মাধ্যমে দেশের টাকা দেশেই থাকছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার অর্থ হলো দেশকে ভালোবাসা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুততম সময়ে সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে গ্রাহকের ফিডব্যাক ও পণ্য সম্পর্কে তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.