সেনা-কর্তাদের সমালোচনা করলেন জেলেনস্কি

সেনায় বাধ্যতামূলক নিয়োগ নিয়ে কড়া শর্তের জন্য সেনা-কর্তাদের সমালোচনা করেছেন জেলেনস্কি। সেনা-কর্তারা নতুন নিয়ম চালু করেছেন, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিরা বিনা অনুমতিতে নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না। কারণ, প্রয়োজন হলেই তাদের সেনার কাজে লাগানো হতে পারে। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে এই নির্দেশের বিপুল প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

ইউক্রেনে জেলাগুলো মাঝারি মাপের। এগুলি সাধারণত পুরসভার থেকে সামান্য বড়। ফলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে আগাম অনুমতির বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন প্রচুর মানুষ।

জেলেনস্কি বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে মানুষ ক্ষুব্ধ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শীঘ্রই তিনি বিষয়টি দেখবেন। সেনা-কর্তাদের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। মানুষের ক্ষোভ যাতে আর না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন।

জেলেনস্কি ভিডিও ভাষণে জানিয়েছেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই সিদ্ধান্তের স্পষ্টীকরণ দেব। আর সেনা-কর্তাদের অনুরোধ করছি, আমায় না জানিয়ে তারা যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেন।’

রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের দরকার হলে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে। গত অক্টোবর থেকে কিছু বিশেষ পেশার সঙ্গে যুক্ত নারীদেরও সেনায় নিয়োগ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে দনেৎস্কের শহর স্লোভিয়ানস্কে গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। এর ফলে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, রাশিয়ার গোলা এসে শহরের বাজার অঞ্চলে পড়ছে। যেখানে সাধারণ মানুষ জমায়েত হন, রাশিয়া সেই সব জায়গা আক্রমণ করছে। সাড়ে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পুরো দেশের ভাগ্য দনেৎস্কই নির্ধারণ করে দেবে। তাই সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া দরকার। তাহলেই ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার সেনার মোকাবিলায় পুরোপুরি নজর দিতে পারবে।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০-র বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, এই বৈঠক তার কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। প্রাইস জানিয়েছেন, তার প্রত্যাশা জি২০ সদস্য দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.