প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যবসায়ীর

জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক ব্যবসায়ী। তার নাম কাজী আনিস (৫০)।

আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছে শাহবাগ থানা–পুলিশ।

পাওনা টাকা না পেয়ে তিনি গায়ে আগুন দেন বলে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যবসায়ীর এক বন্ধু এ কথা জানিয়েছেন।

কাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ কাজী আনিসের অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে এক ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি।’

হাসপাতলে মো. আলী নামের কাজী আনিসের এক বন্ধু বলেন, হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন তিনি। কিন্তু কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আজ গায়ে আগুন দিয়েছেন।

আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ৩ মেয়ের জনক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি চাকরিও করতেন। ওই কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। এজন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি আজ এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

হেনোলাক্স কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মুখমণ্ডলসহ তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.