সড়ক-মহাসড়কে বসানো যাবে না পশুর হাট

এবার কোনোভাবেই সড়ক ও মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না বলে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়িতেও পশু পরিবহন করা যাবে না। এটা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিজ বাসভবন থেকে প্রস্তুতি সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (রাস্তায় পশুর হাট) কড়া নজরদারি করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় থাকতে হবে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেক পশুবাহী যানবাহন এ পথে ঢাকায় আসবে, বিষয়টি বিবেচনায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহনের চাপ বাড়বে। তাই চাপ সামলাতে এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু এবং মেঘনা ও গোমতি সেতুর টোল প্লাজায় বুথ সংখ্যা বাড়াতে হবে।

এবারের ঈদে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বৃষ্টি আসতে পারে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ধীরগতির পশুবাহী যানবাহন, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু পরিবহন, সড়কের পাশে পশুর হাট এবং করোনা সংক্রমণসহ সব চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। তাই ঘরমুখো মানুষকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।

দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে একটি মহল তৎপর আছে, তাদের থেকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারবো।

এ সময় পরিবহন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যানবাহন চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে, সড়কে গাড়ি যাতে বিকল না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঈদ উপলক্ষে ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে যতটা সতর্ক থাকা হয় ঈদের পরে ততটা সতর্ক না থাকায় সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হয়, তাই এ বিষয়েও নজর দিতে হবে।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.