শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে জিতু

সাভারের আশুলিয়ায় কলেজ-শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে প্রকাশ্যে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান আসামি আশরাফুল আহসান জিতুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব হাসান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আশুলিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে জিতুকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান।

আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে শিক্ষক হত্যার প্রধান আসামি জিতুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে বৃহস্পতিবার র‌্যাব তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি জিতুকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত করা হয়।

এর আগে বুধবার (২৯ জুন) জিতুর বাবাকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হয়। পরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। পরে আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই অসীম কুমার বাদী হয়ে জিতুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে এখনো অভিযুক্ত শিক্ষার্থী পলাতক রয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে শিক্ষককে হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। সেখানে সিসি ক্যামেরা সচল থাকলেও পরিকল্পনা অনুসারে আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয় ওই শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জ্বল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার হোটেল ব্যবসায়ী মাজেদ। ওই কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া মাজেদের ছোট বোনের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে কিছুদিন আগে ক্লাসরুমে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারকে জানানোর পর থেকেই উৎপলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষক উৎপলকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.