ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ১ জুলাই থেকে

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে আগামী ১ জুলাই থেকে টোল আদায় শুরু হচ্ছে। রোববার (২৬ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব ফাহমিদা হক খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয় সোমবার (২৭ জুন)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘টোল নীতিমালা ২০১৪ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে টোল হার নির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (এক্সপ্রেসওয়ে) টোল হার (মিডিয়াম ট্রাক) সমন্বিতভাবে ১০.০০ টাকা/কিলোমিটার নির্ধারণ করা হলো। এতে অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। পরবর্তীতে টোল নীতিমালা ২০১৪ অনুসারে যথাসময়ে টোল হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।’

আরও বলা হয়, ‘জনস্বার্থে এ আদেশ ১ জুলাই, ২০২২ তারিখ হতে কার্যকর হবে।’

জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এ এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ট্রেইলার ২৫ টাকা, হেভি ট্রাক ২০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ১০ টাকা, বড় বাস ৯ টাকা, মিনি বাস বা কোস্টার ৫ টাকা, মাইক্রোবাস ৪ টাকা, সেডান কার ২.৫০ টাকা এবং মোটরসাইকেল ১ টাকা হারে টোল প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য পদ্মা সেতুর আগে ও পরের ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়ককে ‘এক্সপ্রেসওয়ে’ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর আগে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আর সেতুর পরে মাদারীপুরের পাচ্চর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্ভুক্ত। সরকারিভাবে এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’। ২০১৯ সালে এই নামে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ছয় লেনের এই মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার ও চারটি রেলওয়ে ওভারপাসসহ এই মহাসড়কে রয়েছে সার্ভিস লেনও।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.