‘শিশুর সুরক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর চেয়ে বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলম বলেছেন, মহিলা ও শিশু খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’র ৮০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়না। ফলে এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাস্তবায়নে বেশি জোর দিতে হবে।

সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় বাজেটে শিশুর জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরী’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চিলড্রেন এ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) ও আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশযৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় ¯ স্থায়ী কমিটির সদস্য শবনম জাহান শীলা এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম।

সিএজেএন এর সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর ডেপুটি ডিরেক্টর (ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশনস) মঞ্জু মারিয়া পালমা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে ড. শামসুল আলম বলেন, মহিলা ও শিশু খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’র ৮০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়না। কাজেই বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামাজিক সংগঠনসহ সবাইকেই কাজ করতে হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ঝরে পরাকে তিনি বড় সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, কোভিড-১৯’র কারণে ঝরে পরাদের ব্যাপারে বাজেটে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

শবনম জাহান শিলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি শিশু বান্ধব সরকার। তিনি শুধু সরকারের সমলোচনা না করে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

সাইফুল আলম বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা শিশু মন্ত্রণালয় থাকা দরকার। তিনি শিশুদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। অর্থঅপচয় রোধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মানসম্পন্ন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের ৬ কোটি ৬০ লক্ষ শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট নেই। শিশুর সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ও সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে। জাতীয় বাজেটে এ বছর শিশুদের জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। করোনা পরবর্তী শিশুদের পুষ্টি নিয়ে বাজেটে সরকারের কোনো উদ্যেগ নেই। এছাড়া, করোনায় বাল্য বিবাহের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এভাবে স্কুল থেকে ঝরে পরাদের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করে তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশে জোরালো সাংস্কৃতিক আন্দোলন জরুরি। এজন্য শিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.