একই দলে খেলবেন বাবর-কোহলি?

রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ২০০৮ সালের পর থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এদিকে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভারতের ক্রিকেটার না থাকায় এই দুই দেশের ক্রিকেটারদের একই দলে খেলতে দেখাটা কাল্পনিকই বটে। তবে ২০২৩ সালে একই দলের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে দুই দেশের ক্রিকেটারদের।

২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে মাঠে গড়াতে পারে আফ্রো-এশিয়া। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (অধীনে) আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে এশিয়া একাদশের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমকে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এসিসির হেড অব কমার্শিয়াল ইভেন্টস প্রভাকরণ থানরাজ।

এ প্রসঙ্গে ফোর্বসকে প্রভাকরণ বলেন, আমরা এখনও বোর্ডের কাছে থেকে সিদ্ধান্ত পাইনি। আমরা এখনও সাদা কাগজে কাজ করছি এবং এটি উভয় বোর্ডে জমা দেওয়া হবে। তবে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের সেরা খেলোয়াড়রা এশিয়ান একাদশে খেলার জন্য।

সর্বশেষ ২০০৫ ও ২০০৭ সালে মাঠে গড়িয়েছিল আফ্রো-এশিয়া কাপ। যেখানে এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব আখতার, শহিদ আফ্রিদি এবং ভারতের বীরেন্দ্রর শেবাগ ও রাহুল দ্রাবিড়রা। রাজনীতিকে দূরে রেখে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের দেখতে মুখিয়ে আছেন কমিটির প্রভাবশালী প্রধান নির্বাহী ডামোদার।

তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের মাঝে বন্ধন তৈরি এবং তাদেরকে একসঙ্গে খেলতে দেখতে পছন্দ করবো। আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়েরা চায় এটি ঘটুক এবং রাজনীতিকে দূরে রাখতে চায়। ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের একই দলে খেলতে দেখাটা দারুণ কিছু হবে।’

দুই দেশের ক্রিকেটারদের একই দলে খেলানোর ব্যাপারে বেশ আলোচনা হলেও এখনও টুর্নামেন্টের কাজ খুব একটা এগোতে পারেনি তারা। এসিসির হেড অব কমার্শিয়াল ইভেন্টস জানিয়েছেন, সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর তারা স্পন্সরশিপ এবং সম্প্রচার সত্ব বিক্রির জন্য দৌড়াবে।

টুর্নামেন্টটিতে এশিয়া একাদশের হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার ছাড়াও দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের। আর আফ্রো একাদশের হয়ে খেলতে পারেন সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ার ক্রিকেটাররা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.