সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: আরও ১ ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মৃত্যু

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস কর্মী গাউছুল আজম (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গাউসুল আজমের মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মী নিহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ আছেন আরও ৩ জন।

রোববার ভোররাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ তথ্য জানিয়ে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, গাউছুল আজমের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। ৫ জুন চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে গাউছুল আজমসহ ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৯ জন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে আছেন।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত ২ কর্মীর একজন গাউসুল আজম মারা গেছেন।

যশোরের মনিরামপুরে আজগর আলীর ছেলে গাউসুল আজম ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগ দেন। তার স্ত্রী কাকলি আক্তার ও ৬ মাসের ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় বেসরকারি বিএম কনটেইনার লিমিটেডের ডিপোতে আগুন লাগে। পরে দাহ্য পদার্থ থাকা বেশ কয়েকটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৭ জন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.