দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে নিজেদের বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিচ্ছে ভারত। যদিও সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে সফল হতে দেননি ডেভিড মিলার ও ভ্যান ডার ডাসেন।

এই দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করে ভারতের করা ২১১ রান ৫ বল আগে পেরিয়ে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে ডাসেন ৪৬ বলে ৭ চার, ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রান করেন। আরেকটু বেশি আক্রমণাত্মক মিলার ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। চতুর্থ উইকেটে এই দুজনে ৬৩ বলে তুলেছেন ১৩১ রান। ফলে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়েরও রেকর্ড।

এর আগে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচের এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো ম্যাচটি বোধহয় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কারণ শেষ ৪ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫৬ রান। এরপর হার্শাল প্যাটেলের করা ১৭তম ওভারে রীতিমত ঝড় তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার পথ সহজ করে দেন মিলার ও ডাসেন। এই ওভার থেকেই আসে ২২ রান। এরপর ১২ বলে ১২ রানের সমীকরণ ধীরেসুস্থে পাড়ি দিয়েছেন মিলার-ডাসেন।

অবশ্য বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো ছিল না। তারা দলীয় ২২ রানেই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। তিনি ১০ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হন। এরপর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২৯ করে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক আউট হয়েছেন ২২ রান করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইশান কিশানের ঝড়ো ৪৮ বলে ৭৬, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৭ বলে ৩৬ ও হার্দিক পান্ডিয়ার অপরাজিত ১২ বলে ৩১ রানের ইনিংসে বড় পুঁজি নিশ্চিত করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন কেশভ মহারাজ, এনরিক নরকিয়া, ওয়েইন পারনেল ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.