বাজেটে আইসিএবির তিন উদ্বেগ

পেশাদার হিসাববিদদের সংগঠন দ্যা ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) সামগ্রিকভাবে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বাজেটের তিনটি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় বাজেট সংক্রান্ত প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট শাহাদাৎ হোসেন এফসিএ। এর আগে একইদিন বিকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

আইসিএবির উদ্বেগের বিষয় তিনটি হচ্ছে-করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখা, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে প্রদেয় অনুদানকে ব্যয় হিসেবে অগ্রাহ্য করা এবং সরকারি সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফায় কর আরোপ।

আইসিএবির মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সত্ত্বেও করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখা কোনোভাবেই যৌক্তিক বিষয় নয়। অন্যদিকে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে প্রদেয় অনুদানকে ব্যয় হিসেবে অগ্রাহ্য করলে তা কোম্পানির উপর করের চাপ বাড়াবে, বিশেষ করে যেসব কোম্পানি কমপ্লায়েন্স সঠিকভাবে পরিপালন করে। সরকারি সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফায় (Capital Gain) কর আরোপ করা হলে তা করদাতার উপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

আয়কর সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবকে ইতিবাচক মনে করছে দেশের অন্যতম শীর্ষ পেশাদার সংগঠনটি। এগুলো হচ্ছে- করপোরেট কর হার হ্রাস, রপ্তানিমুখী সকল শিল্পখাতে ১২ শতাংশ করপোরেট কর নির্ধারণ, সবুজ কারখানায় ১০ শতাংশ কর ধার্য, একীভূতকরণের সংজ্ঞা পরিবর্তন ইত্যাদি।

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি। এগুলোর মধ্যে আছে-একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক উৎপাদন ইউনিটের জন্য একটি সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন, উৎসে ভ্যাট কাটা হলে তা সমন্বয়ের সময় বাড়ানো, জরিমানা ১০০% থেকে কমিয়ে ৫০% নির্ধারণ, ভ্যাট বকেয়া পড়লে সর্বোচ্চ ২৪ মাস পর্যন্ত তার উপর সুদ আরোপের প্রস্তাব।

রপ্তানিমুখী শিল্পের বন্ডেড ওয়্যারহাউজ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পরিচালনার উদ্যোগকেও ইতিবাচক মনে করছে আইসিএবি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.