স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব

চোরাচালান বন্ধে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘কোভিড অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, স্বর্ণখাতকে একটি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর অধীনে পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা’ প্রণীত হয়েছে।

এ নীতিমালা প্রণয়নের সময়ে সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে স্বর্ণ আমদানি করার লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে ও উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করা এবং স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করার লক্ষ্যে স্বর্ণ আমদানিতে বিদ্যমান অগ্রিম কর বিলোপের প্রস্তাব করছি।

এতে জুয়েলারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে ও সরকারের কর রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।

অনুদান বাদে এই বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।

এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.