জালিয়াতির ঋণে অবলোপন নয়: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) বিতরণ করা ঋণ অবলোপনে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ অবলোপন বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন শর্ত। এই শর্ত অনুসারে, যেসব ঋণের পেছনে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণা আছে, সেসব ঋণ অবলোপন করা যাবকে না।

আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুসারে, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে যেসব ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, সেসব ঋণ অবলোপন করা যাবে না। একইভাবে অবলোপন করা যাবে না দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণও।

জালিয়াতি ও প্রতারণার সংশ্লিষ্টতা আছে, এমন ঋণ যদি অবলোপন করতে হয়, তবে তার আগে মামলা করতে হবে। সেই মামলা নিষ্পত্তির পর ওই ঋণ অবলোপন করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, জাল-জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে কিংবা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গৃহীত আইনি ব্যবস্থা নিষ্পত্তির আগে সংশ্লিষ্ট ঋণ/লিজ/বিনিয়োগের প্রাপ্য অর্থ ডিএফআইএম সার্কুলার নং- ০২/২০১৯-এর আওতায় অবলোপন করা যাবে না।

‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে’ বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র (ব্যালান্স শিট) থেকে বাদ দেওয়াকে ‘ঋণ অবলোপন’ বলা হয়। যদিও এ ধরনের ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তা প্রকৃত অর্থে ‘খেলাপি ঋণ’। ২০০৩ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ঋণ অবলোপন করে আসছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.