সীতাকুণ্ডে ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে ও ঝুঁকিমুক্ত: সেনাবাহিনী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর আগুন এখনো নেভেনি। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এবং ঝুঁকিমুক্ত বলে দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।

অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় বিএম কনটেইনার ডিপোর ফটকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। অন্যদিকে, মর্মান্তিক এ ঘটনায় মর্গে পড়ে থাকা বহু লাশ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ইতিমধ্যে যারা স্বজনের লাশ জামা-কাপড় বা অন্য কিছু দেখে শনাক্ত করেছেন তাদেরও ডিএনএ পরীক্ষা শুরু করেছে প্রশাসন।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেখানে নতুন করে বিস্ফোরণের কোনও ঝুঁকি নেই। ঘটনাস্থলের আশপাশের মানুষও ঝুঁকিমুক্ত। ক্ষয়ক্ষতি ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কনটেইনার ডিপোতে এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। কয়েকটি রাসায়নিক কনটেইনার শনাক্ত করা হয়েছে। কাপড় তুলাসহ বিভিন্ন কনটেইনারে গার্মেন্টস পণ্য থাকায় কিছু কনটেইনার থেকে এখনো ধোঁয়া উঠছে। এখানে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে, আর যেনো কোনো ক্ষতি না হয় এবং হতাহতের ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা সাবধনাতার সঙ্গে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি। যেসব কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, সেগুলোর আশেপাশে আমরা কম যাচ্ছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাই না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। ঢাকা থেকে আজ সেনাবাহিনীর আরও একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। তারা এখানে আর কোন বিপজ্জনক কিছু আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ এলাকাটা অনেক বড়। প্রায় ২৬ একর জায়গায় এই কনটেইনার ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির পর আরেকটি লাগানো ছিল। ফলে কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে সময় লাগে।’

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত ১০টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাতে একটি কনটেইনারে আগুন লাগে। পরে সেটি বিস্ফোরিত হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ , ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.