দিনে সবজি বিক্রেতা, রাতে ভয়ংকর ডাকাত

কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, কেউ অনলাইনে ফুড ডেলিভারিম্যান, কেউ বা আবার রং মিস্ত্রি, আবার কেউ পেশায় সবজি বিক্রেতা। এমন কিছু ব্যক্তিই রাতে রূপ নেন ভয়ংকর ডাকাতের। তারা ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বাসাবাড়িতে লুটপাট করেন অস্ত্রের মুখে ফেলে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুরের একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের সদস্যরা অভিযান চালান।

গ্রেপ্তারকৃত ছয়জন হলেন- সুজন হাওলাদার (৩২), রবিউল আউয়াল ওরফে রবি (১৯), বাবু ওরফে জুয়েল (২২), মো. রনি (১৯), একরাম আলী (৩৩) ও ইব্রাহিম মাঝি (২০)। তাদের কাছ থেকে একনলা বন্দুক, ডাকাতিতে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চাপাতি, দুটি ছুরি, লোহার রড, পাইপ কাটার রেঞ্জ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডাকাতদলের ওই ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবি কর্মকর্তারা। সেখানে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এই চক্রটি নানা পেশার আড়ালে অস্ত্রের মুখে বাসাবাড়িতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিত। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ধর্ষ এই ডাকাত চক্রের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, অটোরিকশার চালক, অনলাইনভিত্তিক ফুড ডেলিভারি ম্যান, রং মিস্ত্রি, মুদি দোকানের কর্মচারী- এমন নানা পেশার কিছু লোক রাতে একত্রিত হয়ে নেমে পড়ে ডাকাতিতে। নিজেদের দিনের পেশাকে কাজে লাগিয়ে এরা বাসাবাড়িতে ডাকাতি করে।

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের এডিসি শাহাদত হোসেন সুমা বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এদের সর্দার পলাতক। তার নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.