জামরুলের যত উপকারিতা

গ্রীস্মকাল মানেই নানারকম ফল খাওয়া। এই সময়ের ফল হিসাবে জামরুল আমাদের হাতের কাছে থাকা সুপরিচিত একটি ফল। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় এই ফল পাওয়া যায়। এটি মূলত দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব মালয়েশিয়ার ফল। তবে এটি বাংলাদেশ-ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় চাষাবাদ হয়।

উপকারিতা

১. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : জামরুলে ভিটামিন সি ও ফ্লাবিনয়েড থাকায় ক্যানসার ও হৃদরোগের ক্ষেত্রে কোষের ধ্বংসকে রোধ করে। জামরুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের দূষিত পদার্থ দূর করে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষম শ্বেতকণিকা তৈরি করে। এটি ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।

৩. ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় : জামরুলে থাকা নিয়াসিন কোলেস্টেরল তৈরিকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়াসিন রক্তে ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।

৪. স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে : জামরুলে সোডিয়াম না থাকা এবং এইচডিএলের মাত্রা বেশি থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৫. হজমশক্তি বাড়ায় : নিয়মিত জামরুল খেলে পাকস্থলীর হজমশক্তি বাড়ে এবং শর্করা, চর্বি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : জামরুলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার খাদ্য সংবহনতন্ত্রের সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

৭. পেশির ব্যথা দূর করে : পটাশিয়াম থাকায় জামরুল পেশিকে শক্তিশালী করে এবং পেশির ব্যথা দূর করে।

৮. লিভারের রোগ সারায় : জামরুলে এক ধরনের হেপাটোপ্রটেক্টিভ উপাদান থাকে, যা অত্যন্ত সফলভাবে লিভার কোষ ধ্বংস থেকে রক্ষা করে।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : জামরুলে অ্যান্টিহাইপারগ্লিসেমিক উপাদান থাকে, যা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

কাঁচা জামরুলের পাশাপাশি এটি জুস-আচার ও সালাদ হিসেবে জনপ্রিয়। তাই নিয়মিত জামরুল খান, সুস্থ থাকুন।

অর্থসূচক/এসএ/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.