গরমে জমে উঠেছে রাজধানীর আখের বাজার

গ্রীষ্মের খরতাপে উত্তপ্ত রাজধানী ঢাকা। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হলেও বেশিরভাগ সময়েই অতিরিক্ত গরমে নাকাল রাজধানীবাসী। তাই এই গরমে রাজধানীর পথে-ঘাটে কর্মব্যস্ত মানুষের মাঝে পানি ও শরবতের চাহিদা বেড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম আখের শরবত। শুধু আখের শরবতই নয়,  চাহিদা রয়েছে আখের লাল চিনি ও গুড়ের।

এসব চাহিদার কারণেই রাজধানীর ফরাশগঞ্জে, পাইকারি আখের বাজারের বেড়েছে বেচা-কেনা। তাই প্রতিদিনই রং বিলাস ও অমৃতাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন জাতের আখে ভরে উঠছে আড়তগুলো। প্রতিটি আখ জাত এবং আকারের উপর ভিত্তি করে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ব্যবসায়ীদের কর্মব্যস্ততা। আবার বিকেলের মাঝেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ আখ।

মোঃ সেলিম নামের ফরাশগঞ্জের এক আখ ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির মাঝে আমাদের লোকসান হয় কিছুটা। তবে গরমে আখের চাহিদা বেড়ে গেলে তখন ভালোই বিক্রি হয়। রং বিলাস জাতের আখের সব থেকে বেশি চাহিদা। চট্টগ্রাম এবং তার আশেপাশের পার্বত্য জেলাগুলোতে এই জাতের আখ চাষ হয় বলে দাম বেশি। সেখান থেকে ট্রাকে করে আখগুলো নিয়ে আসতে হয়। এদিকে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন জাতের এই আখের মাঝে অমৃতাসহ অন্যান্য কয়েক জাতের আখ নিয়ে আসা হয় ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং এর আশপাশের জেলা থেকে। আর রং বিলাস জাতের আখ বেশিরভাগ আশে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে।

আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রব জানান, গরমে আখের রসের চাহিদা বাড়ায় বিক্রিও তার বেড়েছে। এ মৌসুমে প্রতিদিন তিনি গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ পিস আখ বিক্রি করছেন।  তবে রং বিলাস আখের সব থেকে বেশি চাহিদা বলে জানান তিনি।

দেশের বাজারে শুধু রস তৈরিতেই নয় চিনি-গুড় জাতীয় পণ্য তৈরিতেও আখের রয়েছে ব্যপক চাহিদা। এ ছাড়া আখ সরাসরি চিবিয়ে খেতেও খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।

অর্থসূচক/এমআর/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.