পুঁজিবাজারে সপ্তাহভর রক্তক্ষরণ

তীব্র রক্তক্ষরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক লেনদেন। সর্বশেষ সপ্তাহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন দরপতন হয়েছে বাজারে। কমেছে মূল্যসূচক। লেনদেনও কমেছে ব্যাপকভাবে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৩ শতাংশ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এরমধ্যে শেয়ারের দর হারিয়েছে ৩৬০টি কোম্পানি। মাত্র ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর ৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

আলোচিত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩০৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। সূচক কমার হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এবার সপ্তাহের লেনদেন শুরুই হয় বড় দর পতন দিয়ে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইএক্স ১৩৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে যায়। পরের তিনদিনে সূচকটি কমেছে যথাক্রমে-২৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট, ৯৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, ৫১ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।

আগের সপ্তাহেও শেষ তিন কার্যদিবসে সূচক কমেছিল বাজারে। সব মিলিয়ে সর্বশেষ ৭ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩৯ দশমিক৮৪ পয়েন্ট বা প্রায় ৭ দশমিক ০২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৮০৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৯ কোটি ৫৮ লাখ। এ হিসেবে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বেশ কিছু কারণে বাজারের অবস্থা এমন নাজুক হয়ে উঠেছে। বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরাজমান চাপ, শ্রীলংকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটজনিত আতঙ্ক, বিশ্বপুঁজিবাজারে বড় দর পতনের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, সিকিউরিটিজ আইন প্রয়োগে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শৈথিল্য ও পক্ষপাতের অভিযোগে সৃষ্ট আস্থাহীনতা ইত্যাদি কারণে বাজারে পতন অনিবার্য হয়ে উঠে। পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার জন্য কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি নানা গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সব মিলিয়ে-ই বাজারের বেহাল দশা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.