বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

রাজধানীর গ্রিনরোডের এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সপ্তম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে এম ডি ইমাম হোসেন (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিন সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমাম হোসেনের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। তার বাবার নাম আক্তার হোসেন। ইমাম কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ৯৮ নম্বর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। আজ সকালে তার তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সেলুজ্জামান জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় জানতে পারেন এক শিক্ষার্থী ৭ তলা থেকে নিচে পড়ে গেছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ৯ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছেন।

এ তথ্য জানিয়ে তেজগাঁও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাততলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইমাম হোসেন। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি, তিনি আশপাশে দেখছিলেন। পরে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখেন, কেউ নেই। ওই সময় তিনি লাফিয়ে পড়েন। লাফিয়ে পড়ার আগে নিজের মুঠোফোনটি চেয়ারে রেখেছিলেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলেই ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে, কেন এ ঘটনা ঘটল, তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমরা পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। পরিবারের লোকজন থানায় আসছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাঁরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.