শাহজালালে দুই বিমানের সংঘর্ষ, প্রধান প্রকৌশলীসহ পাঁচ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশের নিজস্ব হ্যাঙ্গারে দুটি বোয়িং উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলামসহ ৫ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরখাস্ত হওয়া অপর চারজন হলেন- বিমানের প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দুটি উড়োজাহাজই বিমানবহরে নতুন। ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০-এর অনভিজ্ঞ টোম্যানকে দিয়ে হ্যাঙ্গার থেকে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ বের করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিমানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এতদিন পরও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (১৯৭৯) প্রবিধানমালার ৫৫ ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে দুই বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের লেজের হরিজেন্টাল স্ট্যাবিলাইজার ভেঙে গেছে। অপর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ককপিটের একটি অংশ ছিদ্র ও নোজের বড় অংশ (বিমানের নাক) দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

এ ঘটনার এক দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

অর্থসূচক/এইচডি/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.