সানফ্লাওয়ার-অলিভ অয়েলেও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি এফবিসিসিআইয়ের

দেশে ভোজ্যতেলের সঙ্কট এড়াতে সয়াবিন ও পাম তেলের বাইরে সানফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল, ক্যানোলাসহ অন্যান্য পরিশোধিত তেল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বুধবার (১১ মে) এই দাবি জানায় ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনের নেতারা। বর্তমানে এসব তেলের ওপর ৩০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য রয়েছে।

ভোজ্যতেলের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এই প্রস্তাব করেন। রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ভোজ্যতেলের সংকট চলছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এই সংকট আরও প্রকট হয়েছে। সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর উৎপাদন কমে গেছে। ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি বন্ধ করেছে। এতে করে বিশ্বব্যাপী পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। তা সত্ত্বেও ৫/৬টি কোম্পানি তাদের সাধ্যমতো ভোজ্যতেল আমদানি করে দেশে তেলের সরবরাহ সচল রাখার চেষ্টা করছে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি এই তেল আমদানির প্রক্রিয়াটি আরো সহজ করা দরকার। ইতোমধ্যে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর থাকা শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক অস্থির পরিস্থিতিতেও দেশে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

‘তবে সংকট দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। শুধু সয়াবিন তেল দিয়ে চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে সানফ্লাওয়ারসহ যত পরিশোধিত তেল আছে সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানির পথ সুগম করতে হবে। এর জন্য এসব তেলে থাকা সব ধরনের শুল্ক-ভ্যাট ট্যাক্স তুলে নিতে হবে। তাহলে দেশে এ ধরনের তেলের পর্যাপ্ত আমদানি হবে এবং তা ক্রেতা পর্যায়ে কেনা সহজলভ্য হয়ে উঠবে।’

এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এফবিসিসিআই থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.