হতাশায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করলেন ঋণগ্রস্থ বাবা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক রুবেল। তাকে আটকের পর প্রাথমিক ভাবে হত্যার দায় শিকার করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় এমন কাজ করেছেন রুবেল। স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর নিজেও করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা।

রুবেলের ছোট মেয়ে কথা পড়তো পঞ্চম শ্রেণিতে আর বড় মেয়ে ছোঁয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী। ভোররাতে হঠাৎ বাবার এমন নৃশংসতা। দুই সন্তানের সাথে স্ত্রীকেও গলা কেটে হত্যা করেন আসাদুজ্জামান রুবেল।

মানিকগঞ্জের ঘিওরের আঙ্গুরপাড়া এলাকায় শশুরবাড়িতেই থাকতেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক এই ব্যাক্তি। স্বজনরা জানান ঋণগ্রস্ত থাকায় হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। আর তার সাথে চলছিলো দাম্পত্য কলহ।

গতরাতে ঝগড়ার পর ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় ঘাতক বাবাকেও। হত্যার দায় শিকারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, রুবেল চেয়েছিলো নিজের ঋণের বোঝা যেন পরিবারের ঘারে না আসে তাই স্ত্রী-সন্তান সহ সবাইকে নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে। কিন্তু স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করার পর আর নিজে আত্মহত্যার সাহস যোগাতে না পেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায় রুবেল।

ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা দাঁ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.