মজুদ করা তেল বেশি দামে বিক্রি করায় জরিমানা

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে মজুদ করা তেল বেশি দামে বিক্রি করায় দোকানিকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

যদিও গত তিন আগেও, সয়াবিন তেলের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরেও তেল কিনতে পারেন নি ক্রেতারা। কিন্তু দাম বাড়ানোর পর বাজারে উল্টো চিত্র। তেলে সয়লাব। তবে নতুন তেল নয়, আগের মজুত করা বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

 

রোববার (৮ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিশেষ অভিযান চালিয়ে এরকমই প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শাহ মিরন জেনারেল স্টোর জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার ও মো. মাগফুর রহমান।

আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আজকে সয়াবিন তেল সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি করতে কারওয়ান বাজারে তদারকি হয়।

 

এসময় আগের কেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল যেখানে মূল্য লেখা আছে ১৬০ টাকা। কিন্তু বর্তমান রেটে ১৯৮ টাকায় বিক্রি করছে। এ অপরাধে কিচেন মার্কেটের শাহ মিরন জেনারেল স্টোরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সতর্ক করতে প্রাথমিকভাবে কম জরিমানা করা হয়েছে। পরে এসব অপরাধ করলে বড় অংকের জরিমানার পাশাপাশি মামলা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হবে।

 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, যা এতদিন ১৪০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দাম ৭৬০ টাকা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকায়। নতুন এ দাম শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.