করোনায় আরও আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৭ জনে। এছাড়া একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪২৯ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫১ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ১৬৮ জনে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ এ তথ্য পাওয়া যায়।

ওয়েবসাইটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩২ জন এবং মারা গেছেন ২৩৯ জন।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মারা গেছেন ২৪৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৪৭ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৬০ জন এবং মারা গেছেন ১৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১১ জন মারা গেছেন। গত একদিনে অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬১ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৭ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কানাডায় ৬১ জন, ইরানে ১৭ জন, হাঙ্গেরিতে ২৭ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৫২ জন, পোল্যান্ডে ২৪ জন, চিলিতে ২৭ জন, আয়ারল্যান্ডে ২২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৮ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ২২১ জনের।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.