টানা ৬ ম্যাচে হারল মুম্বাই

ধারাবাহিকতা আর দাপট দেখিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাাঁচবার শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলকে যেন নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে রোহিত শর্মার দলটি। অথচ টুর্নামেন্টের এবারের মৌসুমে জিততেই যেন ভুলে গেছে মুম্বাই। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ১৮ রানের হারে এবারের আসরে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে হারল মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্যরা।

মুম্বাইয়ের ব্র্যাব্রোন স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় লক্ষ্ণৌ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইয়ের কোনো ব্যাটারই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ১৮১ রানে থামা মুম্বাইয়ের হার ১৮ রানে। সর্বোচ্চ ৩৭ রানে এসেছে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে।

জয়ের জন্য ২০০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় মুম্বাই। আভেষ খানের অফ স্টাম্পের বাইরের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৬ রান করা রোহিত। এরপর অবশ্য তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। মাত্র ১৩ বলে খেলেছেন ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবে ব্রেভিসের ঝড় থামান আভেষ। ডানহাতি এই পেসারের মিডল স্টাম্পের ফুল টস ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভারে থাকা দীপক হুদাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আউট হয়েছেন ইশান কিশানও।

পুরোটা সময় অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করা ইশানকে বোল্ড করেছেন মার্কোস স্টইনিস। ডানহাতি এই পেসারের বলে ফেরার আগে করেছেন ১৩ রান। এরপর সূর্যকুমার খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও প্রয়োজন অনুযায়ী রান তুলতে পারেননি। ২৬ বলে ২৬ রান করা তিলক ভার্মা আউট হওয়ার পর ফিরেছেন সূর্যকুমার। ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৭ রান। শেষ দিকে কাইরন পোলার্ডের ১৪ বলে ২৪ এবং জয়দেব উনাদকাটের ৬ বলে ১৪ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। লক্ষ্ণৌর হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আভেষ।

এর আগে রাহুলের সেঞ্চুরিতে ১৯৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় লক্ষ্ণৌ। ৬০ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক। এ ছাড়া মনিষ পাণ্ডের ব্যাট থেকে ৩৮ এবং ডি কক করেছেন ২৪ রান। মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন উনাদকাট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.