কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার পর পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম লীগ (নাওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফের ছোট ভাই তিনি।
সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পর নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পরিচালিত হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক অস্থির হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার তো কোন অর্থ নেই।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে জটিল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে টেকসই সম্পর্ক চায় ইসলামাবাদ। তার নেতৃত্বাধীন আসন্ন সরকার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করবে।
শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য বন্ধু হচ্ছে চীন। চীন সবসময়েই আমাদের বন্ধু ছিল, চিরদিন থাকবে। কেউ চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারবে না।
আফগানিস্তানের চলমান সংকটজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগান জনগণের অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট দূর করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শাহবাজ শরীফ বলেন, নয়াদিল্লিকে উপমহাদেশের জনগণের কল্যাণ কামনা করতে হবে এবং কাশ্মীরের জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দিতে হবে। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতির ন্যায়সঙ্গত অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানে সরকার বদলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, পাকিস্তানে এক সরকারের বদলে আরেক সরকার আসবে-যাবে, সেটা আমাদের চাওয়া নয়। আমরা চাই দেশটিতে সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা হবে। একটি সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে ক্ষমতায় যেই থাকুন না কেন, তাতে কিছু যায় আসে না।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জং জানিয়েছে, সোমবার পিটিআই রাজনৈতিক কমিটি একটি বৈঠক করেছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এখন থেকে তারা সভা-সমাবেশ করার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচী অব্যাহত রাখবে।
দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে আর যাবেন না। বরং পিটিআই এখন তৃণমূল পর্যায় থেকে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে। এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা হবে। খবর- বিবিসি, পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.