ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এক আসরের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ভারতীয় স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল। ২০১৩ আইপিএলে বেঙ্গালুরুতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিলেন তিনি।
নাম উল্লেখ্য না করলেও চাহাল জানিয়েছেন ১৬ তলার বেলকনি থেকে তাকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন এক মাতাল ক্রিকেটার। চাহাল বলেছেন, ‘মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছি। তখন একটুও এদিকে-ওদিক হয়ে গেলে আমি পড়ে যেতাম।’
চাহাল বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। দলটির এক ভিডিওতে আড্ডা দিতে দেখা গেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও করুন নায়ারকে। সেখানেই নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন এই মুহূর্তের কথা তুলে ধরেছেন চাহাল।
খোলাসা করে চাহাল বলেছেন, ‘খুব কম লোকই এই গল্পটা জানেন। আমি কাউকে বলিনি। আজ থেকে সবাই জানতে পারবেন। এটা কখনও বলিনি। ২০১৩ সালের ঘটনা এটা। আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ছিলাম। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ ছিল। তারপর এমনি একটা অনুষ্ঠান ছিল। একজন খেলোয়াড় প্রচুর মদ খেয়েছিল। আমি নামটা নেব না। সে আমায় ফোন করেছিল। দিয়ে বলেছিল, যুজি (চাহালের ডাক নাম) এদিকে চলে আয়। সে আমায় বাইরে নিয়ে গিয়ে বেলকনি থেকে ঝুলিয়ে দেয়। আমার ঘাড়ে হাত ছিল। আমরা ১৬ তলায় ছিলাম। যদি ওর হাত ছেড়ে যেত (তাহলে আমি পড়ে যেতাম)। ওখানে অনেক লোক ছিলেন। তাঁরা পরিস্থিতি সামলে নেন।’
চাহাল বলেছেন, আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। জল খাওয়ানো হয়েছিল। তারপর আমি বুঝেছিলাম যে কোথাও গেলেও কতটা দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এই ঘটনায় মনে হয়েছিল, মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছি। তখন একটুও এদিকে-ওদিক হয়ে গেলে আমি পড়ে যেতাম।
এ বছরের শুরুতে ২০১১ সালের আরেকটি ঘটনা খোলাসা করেছিলেন চাহাল। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর চেন্নাইয়ের হোটেলে অ্যান্ডু সাইমন্ডস-জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনরা অনেক ফ্রুট জুস খেয়েছিলেন। এরপর এই দুই ক্রিকেটার চাহালের হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তারা চাহালের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে তাকে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী উদ্ধার করেছিলেন।
এই ঘটনার বর্ননা দিয়ে চাহাল বলেছিলেন, ‘২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরে চেন্নাইয়ের হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। সাইমন্ডস অনেক ফ্রুট জুস পান করে ফেলে। আমি ওঁর সঙ্গেই ছিলাম। এরপরে জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন এবং সাইমন্ডস আমার হাত-পা বেঁধে দেয়। তারপরে আমাকে বলে, ‘এবার খুলে দেখাও তো!’ ওঁরা এতটাই ফুর্তিতে ছিল যে আমার মুখেও টেপ লাগিয়ে দিয়েছিল। তারপরে আমাকে একদম ভুলেই যায়। পার্টি শেষ হওয়ার পরে সকালে একজন ক্লিনার এসে আমাকে সেই অবস্থায় দেখে মুক্ত করেন। ওঁরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কতক্ষণ এভাবে থাকতে হয়েছিল, আমার জবাব ছিল, সারারাত!’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.