‘আমরা মারা যাচ্ছি… আমাদের বাঁচান’

সরকারের ১২টি কর্তৃপক্ষের অধীনের পরিবর্তে একটির তত্ত্বাবধায়কের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), ভোক্তা অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের ১২টি কর্তৃপক্ষ নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নানা অভিযান পরিচালনা করে আমাদের জরিমানাসহ নানা শাস্তি দিয়ে থাকে।

জরিমানা কিভাবে করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে মোবাইল কোর্ট আসে, নতুন তেলের ড্রাম বা কৌটা  খুলেন, তেল কড়াইয়ে দিয়ে পুড়িয়ে নেয় এবং পুড়ানো সে তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় এবং পরে জরিমানা করে। এখানেই শেষ না… তারা হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে, রশি দিয়ে বেঁধে পাবলিকের সামনে দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। বলেন এইডা কোনো কথা…! অভিযোগ করেন মহাসচিব।

তিনি সাংবাদিকদের উপর অভিমান করে বলেন, আপনারা আমাদের কথা শুনছেন না, আমাদের কথা লিখছেন না। দয়াকরে আমাদের কথা একটু লিখবেন, একটু শুনবেন।

এদিকে সমিতির কোষাধ্যক্ষ সরকারের ভ্রাম্যমাণ অভিযানকে “চাঁদাবাজি” উল্লেখ করে বলেন, কয়েকদিন আগে এক ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করে চলে যায়। জানা যায় ওই মোবাইল কোর্ট ডিসির অনুমতিও নেয় নি। জরিমানার কারণও জানায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আন্দালিভ বলেন, “আমরা মারা যাচ্ছি, আমাদের বাঁচান”।

সরকারকে আহবান জানিয়ে তারা বলেন, অবিলম্বে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় আমরা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে সমস্ত রেস্তোরাঁর চাবি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করবো। উনারা ব্যবসা পরিচালনা করুক। না হয় আমাদের একটা সহজ পন্থায় ব্যবসা করার সুযোগ দিন।

তাদের দাবি সরকার যেন তাদেরকে একটি গ্রহণযোগ্য গাইডলাইন প্রদান করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, সেক্রেটারি ঢাকা মহানগরের কামরুল ইসলাম চৌধুরী, মহাসচিব ইমরান হাসান , ট্রেজারার তৈফিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান, সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এমএস আলম শাহাজাহান প্রমুখ।

অর্থসূচক/ এইচডি/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.