শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় চর সৈয়দপুর এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় উম্মে খায়রুল ফাতেমা নামে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফাতেমা সোনারগাঁয়ের বৈদ্যরবাজার হারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ট্রেনিংয়ের জন্য তিনি মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বামী আবু তাহের।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া একটার দিকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন।

আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই নদীর পশ্চিমতীরের এলাকা থেকে শিক্ষিকা ফাতেমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনার পর আট জনের লাশ উদ্ধার হলো। এদের মধ্যে দুই পুরুষ, চার নারী ও দুই শিশুর লাশ রয়েছে।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরও এক পুরুষ যাত্রীর লাশ উদ্ধারের তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের মোহনায় শাহ সিমেন্ট এলাকা থেকে এক পুরুষ যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়। তবে লাশের কোনও পরিচয় মেলেনি। ওই যাত্রীর নাম নিখোঁজ পাঁচ জনের তালিকায় ছিল না বলেও জানান তিনি।

গতকাল (২০ মার্চ) দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চের ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। লঞ্চটিতে প্রায় অর্ধ-শতাধিক যাত্রী ছিল বলে বেঁচে ফেরা কয়েকজন যাত্রী দাবি করেছেন।

এদিকে সোমবার ভোরে ডুবে যাওয়া এমএল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভেতরে কোনও লাশ পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা অংশ নেয় বলে জানান তিনি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.