২০০ পেরোতে পারল না বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখালেও তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বোলারদের সামনে নাকাল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে খানিকটা আলো জ্বালিয়েছিলেন লিটন দাস। ডানহাতি এই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগোলেও হঠাৎ ধস নামে বাংলাদেশ শিবিরে।সেঞ্চুরির আগে ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৯২ রানে অল আউট হয় টাইগাররা।

ব্যাটিংয়ে নেমে আফগান পেসারদের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিতে দশ ওভারে ৪৩ রান তোলে এই জুটি। এগারতম ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান তামিম। আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

এই সিরিজে তিনবারই ফারুকির বলে আউট হয়েছেন তামিম। তামিম ফিরলেও সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়ানোর মিশনে নেমে পড়েন লিটন। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও পরবর্তীতে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন।

দলের রান ১০০ পেরিয়ে সাকিব ফিরলে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৬১ রানের জুটি। আসমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের লেংথ বল থার্ড ম্যান দিয়ে খেলার চেষ্টা করলে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন সাকিব। চারে নেমে থিতু হতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। রশিদ খানের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে আউট হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

আফগানিস্তান সিরিজে অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলী রাব্বি আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। রশিদের বলে গুলবাদিন নায়েবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ রান করা ইয়াসির। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিলেও এদিন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরেছেন লিটন। মোহাম্মদ নবির লেংথ বলে স্লগ করতে গিয়ে ৮৬ রানে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার।

প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক হলেও এদিন ব্যাট ব্যর্থ আফিফ হোসেন এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। ৫৩ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ তিনটি এবং মোহাম্মদ নবি দুটি উইকেট নিয়েছেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.