‘প্রমিত ভাষা ব্যবহার খুব জরুরি, এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেছেন, ভিন্ন ভাষার প্রভাবে ভাষায় নানা দেশের শব্দ ঢুকে তার মৌলিকত্ব হারায়। তাই প্রমিত ভাষা ব্যবহার খুব জরুরি এবং এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ দরকার।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয়ভাবে মাতৃভাষার ব্যবহার ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেটার অভাব, সেটি হচ্ছে পরিমার্জিত ও পরিশীলিত ভাষার ব্যবহার। আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ বিষয়ে কাজ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ বিষয়ে বিশেষ যত্ন থাকা জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে যত্নশীল।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানের নানা শাখায় বর্তমানে বাংলা ভাষায় অধ্যায়নের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাষার সমৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সে ভাষা আয়ত্ত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমরা প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যবহার করব এটি যেমন ঠিক, এর পাশাপাশি ভিনদেশি ও আন্তর্জাতিক ভাষা যেন রক্ষা করতে পারি সে বিষয়ে যত্নশীল থাকা প্রয়োজন। কেননা বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে আয়ত্ত করার জন্য এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

ভিসি আরও বলেন, ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের প্রয়োজন আছে। কেননা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কেবল বাংলা ভাষাভাষি মানুষের জন্য নয়। এই মাতৃভাষা দিবস আমাদের স্মরণ করে দেয় একটি বিশেষ মূল্যবোধ। সেটি হলো বিলুপ্তপ্রায় ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে সংরক্ষণ করা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়া এবং অন্য ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। মানবিক মূল্যবোধ আমাদের মহান একুশ শিক্ষা দেয়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ কম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে কী করছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ বহু সংস্কৃতির দেশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের পঠন-পাঠনে সরকারের জাতীয় উদ্যোগ আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব শিক্ষার্থীদের কোটা বরাদ্দ আছে। এসব ব্যবস্থাই তাদের ভাষা, সংস্কৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.