বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন আর নেই

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মাওলানা সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন কন্যা, স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

তার বড় শ্যালক হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাসায় এনেছি।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর তার প্রথম জানাজা হবে। এরপর জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান হাবিবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি মাওলানা সালাহউদ্দিনকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৬ সালে বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি মুহাম্মদ নুরুদ্দীন।

১৯৪৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন মাওলানা সালাহউদ্দিন। ১৯৬৬ সালে স্থানান্তর হয়ে বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক সাউথ ইস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের শরিয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক শরিয়া কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামি ব্যাংক কেন্দ্রীয় শরিয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স ইসলামি তাকাফুলের শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ঢাকা সিটি কলেজ ও কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শ্রীপুর বাগনাহাটি কামিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

এদিকে মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.