ট্রান্সজেন্ডার নারীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার ৩

রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় ট্রান্সজেন্ডার (রূপান্তরিত) নারীকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ফার্মগেট এবং মহাখালী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঘটনার মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ, তার স্ত্রী কথিত আরজে সাইমা নীরা ও সাদমান সাকিব। তাদের মধ্যে নিরা নিজেকে আরজে ও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। আর ফুয়াদ নিজেকে বিমান বাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান হোসেন খান বলেন, ট্রান্সজেন্ডার নারী ভাটারা থানায় একটি যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব তিন জনকে গ্রেফতার করে।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি ওই (রিশু) যুবকের কথা বিশ্বাস করে গত ১০ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান। ওই তিনজন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন। এতে বাধা দিলে তিনজন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এ সময় তিনজন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।

অভিযোগ আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।

জানা গেছে, ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ নর্থ সাউথে পড়াশোনা করেন, আর মেয়েটি (সাইমা নিরা) ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ফুয়াদ নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেন, আর মেয়েটা (সাইমা নিরা) নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেন। বসুন্ধরাতে তাদের কয়েকটা বাসা ভাড়া নেওয়া আছে। সব জায়গাতে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.