ছয় জাহাজ কেনার ঘোষণা বিএসসি’র এমডির

মতবিনিময় সভায় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য!

বার্ষিক সাধারণ সভাকে (এজিএম) সামনে রেখে সাংবাদিকদের সাথে নজিরবিহীন মতবিনিময় সভা করেছেন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সুমন মোহাম্মদ সাব্বির। আর এই সভায় বিধি লংঘন করে প্রকাশ করেছেন মূল্যসংবেদনশীল তথ্য। জানিয়েছেন, বিএসসি ছয়টি মাদার ভ্যাসেল কিনবে। বাড়াবে তাদের জাহাজের সংখ্যা।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিএসসি ভবনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট অনুসারে, সভায় কমোডর সুমন মোহাম্মদ সাব্বির বলেছেন,  দেশের চাহিদা পূরণে বিএসসির বহরে নানা আকার ও ধরনের ৪০ থেকে ৫০টি জাহাজ থাকা দরকার ছিল। নানা সমস্যা, বিশেষ করে তহবিল সঙ্কটের কারণে এটি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কোম্পানিটিতে মাত্র আটটি জাহাজ আছে। তাই তারা নতুন জাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছেন।

তথ্য অনুসারে, বিএসইসি ছয়টি জাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার শিপ, দুটি মাদার ট্যাঙ্কার এবং দুটি মাদার প্রোডাক্টস অয়েল ট্যাঙ্কার।

উল্লেখ, গত ২৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে বিএসইসি। ওইদিন অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২৭ জানুয়ারি কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এজিএমের এক সপ্তাহ আগে তা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিএসসি।

লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন থেকে বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে বিএসসির শেয়ারের দাম। গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই শেয়ারের দাম ছিল ৪৯ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। দাম বেড়েছে প্রায় ১৭৬ শতাংশ। তখন থেকে কোম্পানিটি নিয়ে বাজারে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা গুজব। ঠিক এমন অবস্থায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ঘোষণা গুজবকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া বিষয়টিকে বিধিবহির্ভূত বলেও মনে করছেন তারা। কারণ বিধি অনুসারে, কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই কেবল তা প্রকাশ করা যায়। আর সিদ্ধান্তটি সবার আগে জানাতে হয় বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.