‘রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের ৬৯ শতাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত’

রাজধানীতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় কিছু জরিপ করেছি, তার মধ্যে দেখা গেছে ওমিক্রন এখন ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেটা আগে ১৩ শতাংশ ছিল। সবশেষ ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমরা জরিপে এটি পেয়েছি। এই জরিপ ঢাকায় করা হয়েছে। ঢাকার বাইরেও আমরা মনে করি একই হার হবে।

৫০ বছর বয়সীরাও এখন থেকে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা টিকার বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি। বুস্টার ডোজে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করেনি। কারণ ৬ মাস সবার পূরণ হয়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখের মতো বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। আমি প্রথমেই জানাচ্ছি, যে বুস্টার ডোজের বয়স ছিল ৬০ বছর। এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে।

তিনি বলেন, টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি কমে। কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে না। এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে। এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ কোটি টিকা দিয়েছি। আমাদের টিকা যা হাতে আছে এবং যা পাবো তাতে আমাদের জনগণের যতো টিকা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিই আছে। মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং ভ্যাকসিনটা সময়মতো নিয়ে নেবেন। সরকারের যে ১১ দফা বিধিনিষেধ আছে তা মেনে চলার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ৫০ বছরে নামিয়ে এনে বুস্টার ডোজ দিলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিতে হবে। সেটা আমাদের জন্য কোনো অসুবিধা নয়। আমরা শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় এক কোটি সাত লাখ টিকা দিয়ে ফেলেছি। আমাদের কাছে টিকা আছে নয় কোটি ৩০ লাখ ডোজ। টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যারা করেছেন তাদের অধিকাংশের টিকা দেওয়া হয়ে গেছে, খুব একটা বাকি নেই।

তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী ইতোমধ্যে ১২০০ হয়ে গেছে। প্রতিদিন ৫ হাজার করে বাড়লে, একসময় তো ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার, ১০ হাজারে যেতে সময় লাগবে না। ১০ শতাংশ হলেও তো প্রতিদিন এক হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবেন। আমাদের বেড আছে সবমিলিয়ে ২০ হাজার। তাহলে এটা ফিলাপ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এক মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে এটা ফিলাপ হয়ে যাবে। যেটা আতঙ্কের বিষয়, সবাইকে মনে রাখতে হবে। আমরা যদি বেপরোয়াভাবে চলি, সরকারের বিধিনিষেধ না মানি তাহলে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন রকমের মেলা হয়, রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হয়। এখানেও লক্ষ্য করেছি কোনো রকমের মাস্কের ব্যবহার নাই। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ মাস্ক পরেন। সেটা কিন্তু তারা নিজেদের নিজেরা ঝুঁকিতে ফেলছে। মাস্ক পরলে সংক্রমিত হয় না এটা প্রমাণিত।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.