ভিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল শাবিপ্রবি

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজও উত্তাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। যদিও রোববার দিনভর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে রাত ১২টায়ও ক্যাম্পাসজুড়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, শাবিপ্রবিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য উপাচার্য দায়ী। হামলায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর আহত হওয়াকে ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করছেন আন্দোলনকারীরা। এসবের জের ধরে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছেন। তবে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করা, হামলার নির্দেশ দেওয়া উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও পদত্যাগ। এই দাবি মানা না হলে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এসময় সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক কার্যক্রম সচল থাকবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে বোববার বিকালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে রক্ষা করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ ঘটনায় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী কথা, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাকিয়া, মাশেদ হাসান, অংকিতা, অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সজল কুন্ড, গুলজার রহমান, আবু সালেহ মো. নাসিম, বুশরা, ছোয়া, মাজেদুল ইসলাম সিজন, শিক্ষকদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. জহীর উদ্দিন আহমদসহ অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.