আদালতের হাজতখানায় ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল

অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

এদিকে রায় ঘোষণার আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিপেন বিশ্বাস বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছে। তিনি হাজতখানায় আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে তোলা হবে।

এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকালে ধানমন্ডিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এর পরই তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন।

পার্থ গোপাল বণিক ১৯৯৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালে তিনি জেল সুপার পদে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তিনি কারা উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.