রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক

সদ্য বিদায়ী ২০২১ সাল শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক রেকর্ড ২ হাজার ২০৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। যা এর আগের বছর ২০২০ সাল শেষে ছিল ২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।

আজ সোমবার (০৩ জানুয়ারি) সোনালী ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণও কমেছে প্রায় ১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকটির শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ নেমে এসেছে ১৪.১৪ শতাংশ। যা ২০২০ শেষে ছিল ১৮.৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক বছরে শ্রেণীকৃত ঋণ কমেছে ৪.২৩ শতাংশ। বর্তমানে ব্যাংকটিতে শ্রেণীকৃত ঋণ আছে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ১০ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা ।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন করোনা না থাকলে বিগত বছর শেষেই শ্রেণীকৃত ঋণ আমরা সিঙ্গিল ডিজিটে নামিয়ে আনতে পারতাম। আগামী বছর শ্রেণীকৃত ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনাই হবে আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই সাফল্যই প্রমাণ করে ব্যাংকে এখন সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। তবে মুনাফা নয় গ্রাহক সন্তুটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরনকৃত ঋণ ও অগ্রীমের পরিমাণ ৬৯,৩১৭ কোটি টাকা যা ২০২০ সালের চেয়ে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আমানত এখন সোনালী ব্যাংকের। গত বছরে মোট ৮ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে মোট আমানত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এই বিপুল আমানতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাংকটি আগামী দিনগুলোতে সব সূচকে আরো ভাল করবে বলে মনে করেন ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

বিদায়ী বছর শেষে ব্যাংকের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা যা ২০২০ সালের চেয়ে ৪ হাজার ৮১২ কোটি টাকা বেশি।

ব্যাংকের এই সার্বিক সাফল্য সম্পর্কে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, করোনার এই প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ব্যাংকাররা সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যাংকের জন্য কাজ করেছেন বলেই এই সময়ে প্রায় সব সূচকে সোনালী ব্যাংক ভাল করেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ শেষে সোনালী ব্যাংকের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা যা আগের বছরে ছিল ২ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা অর্থাৎ গত বছরে ব্যাংকের মোট রফতানি বেড়েছে ৬৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২১ সালে ব্যাংকের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা যা ২০২০ সাল থেকে ১৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ঋণ এবং জামানতের অনুপাত ৫১.৬১ শতাংশ যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ৪৬.৫৭ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংকের মোট লোকসানির শাখাও কমেছে ১৩ টি। বর্তমানে লোকসানি শাখার সংখ্যা ২৯ থেকে নেমে ১৬ টিতে এসেছে। দেশের অভ্যন্তরে সোনালী ব্যাংক মোট ১ হাজার ২২৭টি শাখা আছে। এছাড়া দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে আরও দুইটি শাখা আছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.