বিএনপি নেতারা কখন পদ্মা সেতু দিয়ে যাবেন সে অপেক্ষায় আছি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি নেতারা কখন পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবেন, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন বলেন জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকতা পেশার মানদণ্ড বিষয়ে প্রেস কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এদিন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে কাউন্সিলের সদস্যরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের সেতু, এরইমধ্যে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোনকে (শেখ রেহানা) নিয়ে পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপারে গাড়ি চালিয়ে গেছেন। সেখানে খুশিতে দুই কিলোমিটার হেঁটেছেন। গাড়ি চালিয়ে ওপার থেকে এসেছেন, তার মানে পদ্মা সেতু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশি-বিদেশি বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না, যদিও করে জোড়াতালি দিয়ে একটি সেতু হবে’।

পৃথিবীর সব সেতু কিন্তু জোড়া দিয়েই হয়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পদ্মা সেতুর এপার থেকে ওপারে গেছেন, ওপার থেকে এপারে এসেছেন, এখন বিএনপি নেতারা কী বলবেন সেটি শোনার অপেক্ষায় আছি। বিএনপি নেতারা কখন পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবেন সেটি দেখার জন্য বসে আছি। কারণ, তারা এ সেতু নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

ড. হাছান বলেন, বিশ্বব্যাংকের যারা এই সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, আশা করছি তারাও পদ্মা সেতু দেখে আসবেন, সেই অপেক্ষায়ই আছি। একটি দেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে এমন একটি সেতু করতে পারে, এটা তারই নজির। যারা পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করেছিল তারা নিশ্চয়ই পদ্মা সেতু দেখে লজ্জিত হবেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। আমাদের দেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা, তা অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই। উন্নত দেশগুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন আছে, সেখানে জবাবদিহিতাও আছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো বিরোধের উদ্ভব হলে সেটি প্রেস কাউন্সিল নিষ্পত্তি করে। কিন্তু বিদ্যমান প্রেস কাউন্সিল আইনে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা খুবই সীমিত। প্রেস কাউন্সিলের জরিমানা করার ক্ষমতা নেই। আমরা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল জরিমানা করতে পারে। ক্ষমতাও বাড়ানো হবে। আইন সংশোধন করে খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে আইনমন্ত্রী সই করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছি, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে সেটি সংসদে পাঠিয়ে দেব। এ মাসে শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। সংসদীয় কমিটি মতামত দেবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্যই এ আইন। এ আইন গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দিতে পারবে।

‘২০২২ সালই হবে সরকারের শেষ সময়’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন হুমকির প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, ফাঁকা কলসি বাজে বেশি। এমন আলটিমেটাম তো গত ১৩ বছর ধরে পেয়ে আসছি। এই সাল সেই সাল, এই ঈদ সেই ঈদ, ঈদের পরেই হবে, বর্ষার পরেই হবে, শীতের পরে এই হবে সেই হবে- এরকম কথা তো মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা বরাবরই বলে আসছেন। তাদের এ কথাগুলো ফাঁকা কলসি বাজানোর মতো।

এসময় তথ্যসচিব মকবুল হোসেন ছাড়াও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে কাউন্সিলের সদস্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সেবিকা রানীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.