ঢাকায় ব্যাপক আতশবাজি, ডিএমপি কমিশনারের অসহায়ত্ব প্রকাশ

ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত ১২টার আগে থেকেই শহরের প্রায় প্রত্যেকটি এলাকাতে আতশবাজি ফুটিয়ে জানান দেয়া হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট।

আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে না পারার বিষয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন খোদ ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার রাতের শেষ প্রহরে গুলশান ২ নম্বর চত্বরে তিনি যখন নিরাপত্তাবিষয়ক ব্রিফিং করছিলেন, তখনও আশপাশের এলাকায় বিকট শব্দে শত শত আতশবাজি ফুটতে শোনা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, আতশবাজি থামানোর বিষয় না। হাত দিয়ে আটকে রাখা যায় না। আতশবাজি না ফুটাতে কালকে আমি অনুরোধ করেছি, দয়া করে আতশবাজি ফাটাবেন না। আতশবাজি ফোটায় একেবারে টিনেজ ছেলে মেয়ে। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, আপনার ছোট ভাই দুইটা আতশবাজি কিনে ফোটাচ্ছে। এত বেশি বিধি-নিষেধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাটাও ডিফিকাল্ট। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নিষেধ করতে পারবো না।’

‘নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম বয়স্ক মানুষ অসুস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে এটি সীমিত রাখবেন। আমি আশা করব যারা এই আতশবাজি ফোটাচ্ছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে,’ যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকে অনিরাপত্তার কিছু নেই। রাস্তায় সাংবাদিক ও পুলিশ ছাড়া কেউ নেই। সব জায়গায় নিরাপত্তা আছে কোথাও কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, ‘মানুষ বাড়িতেই তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উদযাপন করছে। তাদের সামনের বছর ভালো কাটুক এই দোয়া করি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আরেকটু ব্যাটার নগর, নিরাপদ নগর, মানুষ যেন আরও সাচ্ছন্দ নিয়ে সামনে বছরটি কাটাতে পারে। কোভিডের এই অভিশাপ থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.