লঞ্চে নিহতদের পরিবার পাবে দেড় লাখ টাকা

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসার ব‍্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার ঝালকাঠীতে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ পরিদর্শনকালে ঘোষণা দেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম‍্যান কমডোর গোলাম সাদেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঝালকাঠী সদর হাসপাতালে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। প্রতিমন্ত্রী ঢাকা থেকে ঝালকাঠী যাওয়ার পথে দুপুরে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লঞ্চে আগুনে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হিসাবমতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চে ৩৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া লঞ্চের ফিটনেস ঠিক ছিল বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা এখনই বলতে পারছি না।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন।

জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এ সময় প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

মন্তব্য
Loading...