তাইজুলের ঘূর্ণিতে লন্ডভন্ড পাকিস্তান

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালেও ছিল একই চিত্র। আর্লি মর্নিং ব্যাটিংয়ে নামা দল শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিল প্রথম দুই দিন। তৃতীয় দিনও ভিন্ন কিছু ঘটেনি। সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এরপর একে একে নিয়েছেন ৭টি উইকেট। তাতেই লন্ডভন্ড পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ।

প্রথম ইনিংসে করা বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে ২৮৬ রানে। এতে করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিং করতে নামবে মুমিনুল হকের দল। আগের দিন সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা পাকিস্তানের ব্যাটার আবিদ আলি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আউট হয়েছেন ১৩৩ রানে।

দিনের খেলার প্রথম ওভারেরই আব্দুল্লাহ শফিককে হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। ৫২ রান করে ফেরেন তিনি। এরপরের বলেই একই ভঙ্গিতে আজহার আলীকে বিদায় করেন এই স্পিনার। জোড়া উইকেট হারিয়ে বসা পাকিস্তানের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন বাবর আজম। অন্যদিকে ৯৪ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা আবিদ আলী তুলে নেন সেঞ্চুরি। তবে বাবর তাকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি।

মেহেদি হাসান মিরাজের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে সোজা আঘাত হানে বাবরের স্ট্যাম্পে। ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক। ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসা পাকিস্তান আরও বিপদে ফেলেন ফাওয়াদ আলম।

তাইজুল ইসলামের ঘুর্নিতে ৮ রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। তাইজুলের ভেতরে আসা বল ফাওয়াদের গ্লাভসে লাগার পর ক্যাচ নেন লিটন। কিন্তু আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি ফাওয়াদের গ্লাভসে লেগেছে। ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের হয়ে লড়তে থাকেন আবিদ। রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান তারা। তবে লাঞ্চের পর বোলিংয়ে নেমে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন এবাদত হোসেন।

বলের লাইন মিস করে লেগ বিফরের ফাঁদে পরেন রিজওয়ান। একই ভঙ্গিতে আবিদকে ১৩৩ রানে তুলে নেন তাইজুল। যা তার চতুর্থ শিকার। এর দুই ওভার পর হাসান আলীকে স্টাম্পিংয়ে আউট করে ব্যক্তিগত পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এরপরের বলেই নোমান আলীকেও লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। বাকি আর একটি উইকেটও তার দখলে। ফাহিমকে উইকেটর পেছনে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ইতি টানেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.