সরকারকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য কমানোর আহ্বান সিপিডির

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জ্বালানি তেল আগের দামে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান করেছে। ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আজ কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং জনগণের উপর দৈনন্দিন ব্যয়ের বোঝা কমাতে সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১০ নভেম্বর) ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতটুকু প্রয়োজন ছিল?’ শীর্ষক একটি ব্রিফিংয়ে সিপিডির পক্ষ থেকে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের, প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুক্তিসংগত নয়। সরকারের নীতিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং রাজনৈতিকভাবে এটা কোনো আলোকিত সিদ্ধান্ত নয় বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।

নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ব্রিফিংয়ে বলেন, “জ্বালানির দাম বৃদ্ধি জনগণের উপর ব্যয়ের বোঝাকে আরও তীব্র করবে, যারা ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বারায় বিরম্বনায় পরেছে ।”

তিনি আরও বলেন, যুক্তি দেয়া হয় অন্তর্জাতিক বাজারে দাম বারার কারনে মূল্য বৃদ্ধি পায়, পরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে কামতে দেখা যায় না। “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের লোকসান গত সাত বছরে পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে সমন্বয় করা যেতে পারে।”

এছাড়াও, জ্বালানি বিক্রির উপর কর কমিয়ে ঘাটতি সামঞ্জস্য করা যেতে পারে যা বার্ষিক প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।

অর্থসূচক/আরএমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.